স্টাফ রিপোর্টার :
ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী বলেন, ওই কিশোর (১৭) ও তার পরিবারকে সৌদি প্রবাসী চাচার পরিবারের লোকজন সব সময় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলতো। সে কারনে দীর্ঘদিন থেকে তার মনের মধ্যে ক্ষোভ জমতে থাকে। ওই ক্ষোভের থেকেই বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসা ছাত্রী চাচাতো বোনকে (১১) গলা কেটে হত্যা করে।
শনিবার, ৮ মে দুপুরে ফেনীর পুলিশ সুপার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
এ সময় ফেনীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ফেনীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-ডিএসবি) খালেদ হোসেন, ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন, ফেনীর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএনএম নুরুজ্জামান সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ওই কিশোর তার জবানবন্দিতে বলে-তার বাবা জীবিত না থাকায় ও তারা দরিদ্র হওয়ায় ওই ছাত্রীর পরিবার নিয়মিত তাদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতো। একটু সুযোগ পেলেই কটু কথা বা গালমন্দ করা হতো। তাদের সম্পত্তিও চাচা গ্রাস করেছে। এনিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তার মনে ক্ষোভ জমে ছিল। হত্যাকান্ডের ঘটনার সময় ওই ছাত্রীর ভাই মসজিদে ‘ইতিকাফে’ ছিল। তার মা ও বড় বোন পাশের বাড়ীতে গেছে। তখন শুধু ওই চাচাতো বোন ও তার দাদী ঘরে ছিল ।
এ সুযোগে তাদের ঘরে ঢুকে ড্রয়িং কক্ষেই ছাত্রীর হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। টানা হেছঁড়া করে তাকে ছাদের সিড়ি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে এক পর্যায়ে সে (ছাত্রী) হাত খুলে ফেলে। আবার হাত-মুখ বেধে তাদের রান্না ঘর থেকে ছোরা নিয়ে গলায় কোপানো হয়। পরে ছাদের এক পাশে একটি গাছ বেয়ে নীচে নেমে নিজের ঘরে চলে যায়। কিন্তু সিড়িতে তার সেন্ডেল ফেলে যাওয়ার কথা তখন ভুলে যায়। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই বাড়ীর ছাদ থেকে মাদ্রাসায় পড়ুয়া ওই শিশু শিক্ষার্থীর (১১) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়ীয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী শহিদুল ইসলামের বাড়ীতে এঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ নিহত ছাত্রীর ঘরের সিড়ি থেকে ওই কিশোরের সেন্ডেল উদ্ধারের সুত্র ধরে ওই তরুনকে গ্রেপ্তার করে। হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় নিহত ছাত্রীর বড় ভাই আশ্রাফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই কিশোরের নাম উল্লেখ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ সুপার জানায়, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করা হবে। গত শুক্রবার বিকেলে হত্যা মামলার একমাত্র আসামীর ওই কিশোর দায় স্বীকার করে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। জবানবন্দি প্রদান শেষে আদালত তাকে গাজীপুরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণের আদেশ দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেনী কারাগারে প্রেরণ করেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”









